রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সাদ্দামের ফাঁসির এক দশক: তিনি নেই, তিনি আছেন

আমেরিকা, ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠা ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের ১০ বছর পূর্তি ৩০ ডিসেম্বর। এক দশক আগের এই দিনে উত্তর বাগদাদে মিলিটারি ইন্টিলিজেন্সের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষমতাচ্যুত এই ইরাকি নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

এতোদিনে ইরাক ও আগ্রাসন চালানো ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি স্বীকার করছে ইরাকে সাদ্দাম বিরোধী অভিযান ভুল ছিলো। শিয়া-কুর্দিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালানোর বহু অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও সুন্নি ইরাকীদের কাছে এখনো সাদ্দাম হোসেন নায়ক।

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ, কুয়েত দখলে নিয়ে উপসাগরীয় যুদ্ধের জন্ম দিলেও শাসক হিসেবে সফল ছিলেন তিনি। তার শাসনামলে ইরাক ছিলো স্বাবলম্বী, মানসম্পন্ন শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে সাধারণ ইরাকিরা। তাই তার মৃত্যুর এতোদিন পরও সাদ্দামের হাসিমুখের ছবি দেয়া হাতঘড়ি, পুরোনো নোট, কয়েনে বাগদাদের অ্যান্টিক শপগুলো ভরপুর।

তীব্র ভাষায় পশ্চিমাদের বিরোধীতাকারী সাদ্দাম নিজ বিশ্বাসে আমৃত্যু অবিচল থেকেছেন। তাই ফাঁসির মঞ্চে উঠেও ৬৯ বছর বয়সী এই নেতার মুখে ছিলো হাসি। সেই স্মরণীয় কিংবা কালো অধ্যায়ের এক প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুয়াফফাক আল রাবি। তিনি বলেন,‘আমি তার চেহারায় তখন কোনো ভয় দেখিনি’।

রাবি আরও জানান, আমিই ফাঁসির দড়ি ঝোলানোর লিভার টেনেছিলাম। তবে তা প্রথমে কাজ করেনি বলে অজ্ঞাতনামা আরেকজন সেই লিভারে টান দিলে সাদ্দামের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার সাদ্দাম:
২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বরের অন্ধকার রাতে জন্মস্থান তিকরিতের কাছে পলাতক সাদ্দামকে আটক করে মার্কিন সেনারা। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২’শ ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলো আগ্রাসী মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন আগ্রাসনে ইরাক হামছাড়া হওয়ার পর প্রায় ৮ মাস পারিবারিকভাবে বিশ্বাসী দেহরক্ষীদের নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন সাদ্দাম। সেই দেহরক্ষীদের একজনের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই সেই গোপন জায়গায় হানা দিতে সক্ষম হয় মার্কিন সেনারা।

বিলাসবহুল প্রাসাদে বসবাসকারী ইরাকি নেতাকে একটি ছোট বাঙ্কার থেকে বের করে আনা হয়। বের হয়েই সাদ্দাম স্পষ্ট ইংরেজিতে বলেন, “আমি ইরাকের প্রেসিডেন্ট এবং আলাপ-আলোচনা করতে চাই।”

তাকে ধরতে পারায় আনন্দে আত্মহারা মার্কিন কূটনীতিক পল ব্রেমার টেলিভিশনে দেয়া ঘোষণায় বলেন, “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান উই গট হিম।”

এরপরই বিশ্বগণমাধ্যমে উষ্কখুষ্ক চুল এবং ঘন দাড়িতে ঢাকা সাদ্দামের ভিডিও সম্প্রচারিত হয়। শূন্য চোখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। গোটা বিষয়টি আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সাদ্দামের দাড়িসহ এবং শেভকরা চেহারার ছবি প্রকাশিত হয়। তবে আটককারীরা তার দাড়িতে হাত লাগালেও সাদ্দামসুলভ গোঁফ ছিলো অক্ষত।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

প্যালেস্টাইন- ইজরায়েল যুদ্ধে টনে টনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত

ডেনমার্কের পতাকাবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপর দিয়ে ইজ়রায়েলের দিকে যাচ্ছিল।বিস্তারিত পড়ুন

তাইওয়ানের পার্লামেন্টে তুমুল মারামারি

তাইওয়ানের পার্লামেন্টে তুমুল মারামারিতে জড়িয়েছেন আইনপ্রণেতারা। একটি আইনের সংস্কার নিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • বাণিজ্য সম্প্রসারন নিয়ে পুতিন-শির বৈঠক
  • ভ্রমণ ভিসায় ভারতে যাতায়াত তিন দিন বন্ধ
  • পুতিন রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন 
  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • কানের ৭৭তম আসরের পর্দা উঠছে আজ
  • এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ
  • রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান করা হয়েছে
  • সেই পাঁচ রাজ্যে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে ট্রাম্প
  • গাজায় মানবিক কনভয়ে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ
  • দেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলার
  • আফগানিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
  • জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাব পাস