রবিবার, মে ৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সামারউইন্ড ম্যানশনঃ ভুতের উৎপাতের জন্য বিখ্যাত যে বাড়ি!

ভুতুড়ে বাড়ির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। এ নিয়ে প্রচুর গল্পও শোনা যায়। পৃথিবীতে এমন কিছু বাড়ি আছে যেগুলো এই ভুতের উৎপাতের জন্যই বিখ্যাত। এরকমই একটি বাড়ি হল “সামারউইন্ড ম্যানশন”। গোটা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ভুতুড়ে বাড়ি হল এই সামারউইন্ড ম্যানশন। এই বাড়িটি আমেরিকার এস্কনসিনের ভিলাস কাউন্টিতে অবস্থিত।

স্থানীয়দের তথ্যমতে বাড়িটি তৈরী করা হয়েছিল বিংশ শতকের গোড়ার দিকে। ১৯১৬ সালে রবার্ট প্যাটারসন ল্যামন্ট নামের এক ব্যাক্তি বাড়িটি কিনে নেন। এবং তিনি বাড়িটিকে নতুনভাবে ডিজাইন করে সাজিয়ে তোলেন। তখন থেকে বাড়িটিকে “ল্যামন্ট ম্যানশন” নামেও ডাকা হয়।

আগে থেকেই বাড়িটি ভুতুড়ে বলে গুজব ছিল। কিন্ত ল্যামন্ট ওসব গুজবে কান না দিয়ে বাড়িটিতে থাকতে শুরু করেন। প্রথম কয়েকদিন ভালই চলছিল। কিছুদিন পরই এক চাকর প্রথম বাড়িটিতে ভুতুড়ে কান্ডের কথা ল্যামন্টকে জানান। ল্যামন্ট হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্ত কিছুদিন পরই ল্যামন্ট নিজেও ভুতুড়ে অভিজ্ঞতাগুলির সম্মুখীন হতে শুরু করেন।

এমনও শোনা যায় এক রাতে কোন এক অশরীরীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন ল্যামন্ট। “সামারউইন্ড ম্যানশন” এর একটি ঘরের দরজায় আজও দুটি গুলির দাগ দেখা যায়। একটি ঠিক দরজার মাঝ বরাবর। আরেকটি দরজার উপরের দিকে। বলা হয়ে থাকে এটাই রবার্ট ল্যামন্টের ছোড়া গুলির চিহ্ন।

যাই হোক, ল্যামন্ট বেশিদিন বাড়িটিতে থাকতে পারেননি। ১৯৩০ সালে তিনি ও তার পরিবার বাড়িটি ছেড়ে চলে যান। এরপর প্রায় ৪০ বছর বাড়িটি ফাকাই ছিল। ১৯৭০ সালে জিঞ্জার হিউয়েনশাউ এবং আর্নল্ড হিউয়েনুশাউ নামে দুজন ব্যাক্তি বাড়িটিতে ওঠেন। তারাও বিভিন্ন সময়ে নানান ভুতুড়ে ঘটনার সম্মুখীন হতে থাকেন।

তাদের বর্ণনামতে তারা প্রায়ই রাতে এক অশরীরী নারী অবয়ব দেখতে পেতেন। এছাড়া নিচের বেসমেন্ট থেকে প্রায়ই ফিসফিস করে কথা বলার আওয়াজ পেতেন তারা। এরমধ্যে আর্নল্ড হিয়েনশাউ একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। জিঞ্জার হিউয়েনশাউ এর বাবা এ ঘটনা দুজনকে শুনে তার বাড়িতে নিয়ে যান। আর ওই ম্যানশনটিকে একটি রেস্টুরেন্ট বানানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও শুরু করলেন তিনি।

কিন্ত রেস্টুরেন্ট তৈরীর কাজ শুরু করার পর যেন ভুতুড়ে কান্ডগুলো আরো বেড়েই চলল। দিনের বেলাতেও বেসমেন্ট থেকে ফিসফিস কথা বলার আওয়াজ শোনা যেতে লাগল। সবচেয়ে রহস্যময় ব্যাপার ঘটে বাড়িটার ঘরগুলো পরিমাপ করার সময়। কে যেন মাপামাপি করার জিনিসপত্রই গায়েব করে দিয়েছিল।

অনেক খোজাখুজি করার পরও জিনিসগুলো পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর রেস্টুরেন্ট বানানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জিঞ্জার এবং আর্নল্ডও পাকাপাকিভাবে বাড়িটা ছেড়ে দেন। এরপর থেকে বাড়িটা ফাকাই পড়ে ছিল। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালে বজ্রপাতের ফলে আগুন লেগে বাড়িটির কিছু অংশ পুড়ে যায়।

২০১৪ সালে হ্যারল্ড এবং বব ট্রেসি জায়গাটা কিনে নিয়ে বাড়িটিকে পুনঃনির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন।

“সামারউইন্ড ম্যানশন” কে নিয়ে ডিসকভারি চ্যানেলে প্রামাণ্যচিত্রও সম্প্রচারিত হয়েছে। নভেম্বর ২০০৫ এ সম্প্রচারিত প্রামাণ্যচিত্রটির নাম ছিল “আ হন্টিং”।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ