অবশেষে স্ত্রীর মামলায় কারাগারে পুলিশের প্রত্যাহারকৃত ওসি রেফাউল্লাহ
অবশেষে স্ত্রীর মামলায় চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে প্রত্যাহারকৃত (ক্লোজড) ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন খুলনার একটি অদালত।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লব এ নির্দেশ দেন। পরে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমার দায়ের করা নির্যাতন মামলায় আজ রোববার ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে আদালত তা’ নামঞ্জুর করেন। স্ত্রী রুমা নির্যাতনে অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১৮জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রোববার এ মামলার পূর্ব নির্ধারিত শুনানীর দিন ধার্য্য ছিল।
আদালতে জামিন শুনানীতে বাদি পক্ষে অংশ নেন জেলা জজ আদালতের পিপি কাজী আবু শাহীন, নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অলোকা নন্দা দাস, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম ও হিমাংশু চক্রবর্তী। আসামী পক্ষে ছিলেন রজব আলী সরদার।
পিপি অলোকা নন্দা দাস মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয় খুলনার খালিশপুর নতুন কলোনীর মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে নাছরিন আক্তার রুমার। বিগত দুই বছর পূর্বে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে এবং হ্যাপী চৌধুরী নামের এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। বিষয়গুলো জানার পর প্রতিবাদ করায় স্ত্রী রুমাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত।
এর অাগে গতকাল শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে স্ত্রী রুমা স্বামী রেফায়েতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা বিবরণ তুলে ধরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন পুলিশ পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক পরকিয়া প্রেম। এসবের প্রতিবাদ করায় চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমা। কেড়ে নেয়া হয়েছে দুই কন্যা রাইসা বিনতে চৌধুরী (১৫) ও নানজীবা চৌধুরী (৯)।
রবিবার আদালতের আদেশের পরপরই মামলার বাদী রুমা এজলাসের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আদালত আমার আকুতি শুনেছেন। এখন এ ধরনের একজন অপরাধীর সঠিক বিচার চাই।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারিবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওইবিস্তারিত পড়ুন
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের রায়বিস্তারিত পড়ুন