শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আসুন, বড় হই

খুব কঠিন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।

দলটা তো সেইদিনের। নান্নু, আকরাম, ফারুক, বুলবুলদের আনকোরা বাংলাদেশ দলটাকে কদিন আগেও তো বিশ্বের বড় দলগুলো বলে কয়ে হারিয়ে দিত। বাংলাদেশের সাথে খেলা মানেই প্রেসারহীন, নিয়মরক্ষার ম্যাচ। মোড়লরা কটাক্ষ করে, টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নিতে চায়।

সময় পাল্টায়। পরিস্থিতি পাল্টায়। মাইনর বাংলাদেশ টিম আজ বড় ছয় দলের একটা। মোড়লদের চোখে চোখে রেখে লড়াই করতে জানে এই বাংলাদেশ। আমরা দিনে দিনে বড় হচ্ছি। আমাদের ক্রিকেটের বয়ঃসন্ধি চলছে।

বয়ঃসন্ধিকাল ভয়ংকর। ক্রিকেটটা খেলা হয় মাঠে। মাঠের ১১ জনের বাইরেও কোটি কোটি ভক্ত সমর্থক, ক্রিকেট বোর্ড, সাংবাদিক বা মিডিয়াও কিন্তু ক্রিকেটেরই অংশ। এই প্রত্যেকে মিলেই একটা ক্রিকেটিং এনভারনমেন্ট তৈরী হয়। সবগুলো অংশের মেন্টাল গ্রোথটা একসাথে না হলে অখাদ্য একটা পরিবেশ তৈরী হয়। আমাদের চলছে সেই পর্ব। বয়ঃসন্ধিকালীন অস্থিরতা!

বিষয়টা কেমন? ধরেন খেলার মাঠে ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করে জয় ছিনিয়ে আনলো। স্বাভাবিকভাবেই ভক্ত সমর্থকরা তা নিয়ে উল্লাস করবেন। আবগে ফেটে পড়বেন। উৎসব হবে।

ম্যাচশেষে অতিরিক্ত আবেগ দেখাতে গিয়ে আপনি প্রতিপক্ষের ভক্ত সমর্থকদের উপর হামলা করে বসলেন। হ্যা। রীতিমত হামলাই হয় আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। গত দুই বছরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে যতটা শিক্ষিত বা ভদ্র হয়েছি তার চেয়ে হিংস্র হয়েছি বেশি।

সোশ্যাল মিডিয়া খুব ভয়ংকর জায়গা। আগে ভারত বা পাকিস্তানের ম্যাচে আগেই লড়াই চলত দুইটা দেশের মধ্যে। ভয়ংকরভাবে এখন সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামটাও চলে এসেছে।

ক্রিকেট মাঠের ভদ্রজন হিসেবে নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার নামটা বিশ্বে পরিচিত। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানটা সেঞ্চুরি করে নিজ দলের বারোটা বাজিয়ে আউট হল। সেখানকার সমর্থকেরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানালো।

প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা এসে পিঠটা চাপড়ে দিল। এটাই না ক্রিকেট স্পিরিট। এই না জেন্টেলমেন্স গেইম! আমাদের কাছে না হয় এমন পরিবেশ নতুন। দেখেও কি আমরা শিখতে পারি না?

ক্রিকেটটা যতটা মুখে তার চেয়ে বেশি মাঠে। আপনার পারফর্ম্যান্সই আপনার হয়ে কথা বলবে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ছয় নম্বর দল। এটা সোশ্যাল মিডিয়ার গালাগালির কল্যানে আসেনি। মিডিয়ার লাগামহীন লেখার কারণেও আসেনি।

খেলেই আমরা এটা অর্জন করেছি। তিলে তিলে যে সম্মান আমরা অর্জন করেছি এখন আবার তা আমাদের নিজেদের কারণে নিজেদের অজান্তেই হারিয়েও ফেলছি। ভয়ংকর ব্যাপারটা আমাদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত বা পাকিস্তানকে সমর্থন করবেন না। ফাইন। সমর্থন না করুন। কিন্তু দেশপ্রেমের নামে গালির পসরা সাজিয়ে অন্য দেশের সমর্থকদের কাছে নিজের দেশকে গালি শুনানো কোন অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

মাশরাফি, সাকিব, মুশফিকরা তো এখন অনেক পরিণত। পারফর্ম্যান্সেই পড়েছে তাঁর ছাপ। এবার সময় এসেছে সমর্থক হিসেবে নিজেদেরও ম্যাচিউরড প্রমাণ করার।

চলুন, বয়ঃসন্ধিকাল ঝেড়ে ফেলি। আসুন, বড় হই। খেলা ধুলা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?