রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

‘আলাল কাণ্ডে’ বিব্রত বিএনপি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বিএনপির প্রতিনিধি দলের না যাওয়ার সংবাদটি বড় হয়ে গেছে মূলত দলটির যুগ্ম সহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কারণে। দলের মহাসচিব কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও আলাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তার দল যোগ দিচ্ছে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির কোনো প্রতিনিধি যাননি সেই সম্মেলনে।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণপত্র হাতে নেয়ার পর ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিদের কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ও তার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই সম্মেলনে যাবেন কি না- দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই সে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা মির্জা ফখরুল এরপর থেকে এ বিষয়ে একটি কথাও বলেননি গণমাধ্যমে। কিন্তু আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন শুরুর আগের দিন রাজধানীতে এক আলোচনায় স্পষ্ট করেই এই সম্মেলনে বিএনপির যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বসলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তার এই ঘোষণার পর বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছিল বিএনপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধি দল না যাওয়ায় এই আলাল এখন সমালোচনার মুখে।

প্রশ্ন উঠেছে, আলাল কি বিএনপির সিদ্ধান্ত জেনে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন? আর জেনে ঘোষণা দিলে বিএনপি কি তবে সিদ্ধান্ত পাল্টেছে? আপাতত জানার সুযোগ হয়নি। কারণ, ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলন শুরুর সময় থেকেই ফোন বন্ধ করে রেখেছেন আলাল। সন্ধ্যার দিকে নম্বর খোলা পাওয়া যায়, কিন্তু একাধিকার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।’

আলাল কাণ্ডে বিব্রত বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশই। সঙ্গে কথা হয়েছে, এমন সব নেতাই বলেছেন, আলালের আগ বাড়িয়ে কথা বলাটা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি হয়েছে। এ জন্য এই নেতার জবাবদিহি করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন একাধিক জন।

একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আলালকে কি দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এই ঘোষণা দেয়ার? এই সম্মেলনে আমাদের যোগ দেয়া আর না দেয়ায় কী যায় আসে? এটা হয়ত তেমন গুরুত্বও পেতো না। কিন্তু তার জন্যই তো আমাদেরকে বিব্রত হতে হলো। পরিচিতজন একাধিক জনকে তো ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে আজ।’

বিএনপির একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আলাল ভাই যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেও একক সিদ্ধান্তে তো বিএনপি চলে না। কারণ আওয়ামী লীগ যে নির্যাতন নিপীড়ন আমাদের ওপর চালাচ্ছে এই অবস্থায় সম্মেলনে গেলে তা দলে খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। এমনটাই সবার মতামত ছিল। যে কারণে তাদের সম্মেলনে যাওয়া আমরা যৌক্তিক মনে করিনি।’

সম্মেলনে অংশ নিলে বিএনপির জন্য ইতিবাচক হতো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উদারতা ও সহমর্মিতা একতরফা হয় না এটাও বুঝতে হবে।’

আরেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ সম্মেলনে না যাওয়ার বিষয়ে বলেন,‘আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক আচরণ ও নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায়ই বিএনপি তাদের সম্মেলনে অংশ নেয়নি।’

বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল সম্মেলনে না যাওয়ার। কৌশলগত কারণে পরিষ্কার না করে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। যারা বলছে যাবে এটা নিজেদের উৎসাহ থেকে বলছেন।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আমন্ত্রণ পাওয়ার পর ওইদিন রাতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ারপারসনের বেগম খালেদা সঙ্গে মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা গুলশান যান। মতামত জানতে চাইলে চেয়ারপারসন তাদের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের না আসার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই সম্মেলনে না যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন।

তবে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত চেয়েছিলাম বিএনপি সম্মেলনে যাক। এতে দলের ভাবমূর্তি বাড়তো, অন্যদিকে আওয়ামী লীগও জবাব পেত। কিন্তু যখন কেউ গেলো না সেখানে আলাল ভাই যাওয়ার কথা বলে শুধু শুধু বিব্রত করলেন কেন?’

আলালের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত যুবদলের নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘হয়তো তিনি সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক তো চেয়ারপারসন। আর সম্মেলনে বিএনপি যাবে স্পষ্ট করে তো তিনি বলেননি। মিডিয়ায় ভুলভাবে আসছে।’

আলাল যা বলেছিলেন

শুক্রবার এক আলোচনায় অংশ নিয়ে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা খুশি হয়েছি আমাদেরকে দাওয়াত দিয়েছেন, আমরা আনন্দিত। আমাদের সম্মেলনে কিন্তু আপনারা আসেন নাই। সৌজন্যবোধ দেখিয়ে টেলিফোন করে দুঃখ প্রকাশও করে নাই। কিন্তু আমরা আপনাদের মতো হীনম্মন্য নই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে আপনারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, আপনাদের সম্মেলনে যাওয়ার জন্য বলেছেন। বিএনপি যে একটা উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সেই প্রমাণ আপনারা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন পাবেন ইনশাল্লাহ। আমরা যাবো।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেবিস্তারিত পড়ুন

থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বার সভাপতির শপথ নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুববিস্তারিত পড়ুন

  • খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী
  • শ্রমিক অধিকার নিয়ে নালিশের নিষ্পত্তি নভেম্বরে: আইনমন্ত্রী 
  • বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩ নেতার পদোন্নতি
  • বিএনপি মানে খাইখাই, আ.লীগ মানেই দেই-দেই: প্রধানমন্ত্রী
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
  • গুরুতর আহত মমতা, হাসপাতালে ভর্তি
  • সুপ্রিম কোর্টে মারামারি ঘটনায় ৩ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন: হট্টগোল-মারামারিতে ভোট গণনা বন্ধ
  • সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
  • ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়’