বুধবার, মে ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

খাদিজার জন্য ইমরানের ভালোবাসা

ভালোবাসা কি এতই ঠুনকো! শক্তি প্রয়োগ করে কি ভালোবাসা আদায় করা যায়? কিন্তু আমরা দেখলাম শুধু শক্তি নয়, নৃশংস কায়দায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ‘ভালোবাসার’ বহিঃপ্রকাশ।

খাদিজা বেগম নার্গিসের ‘ভালোবাসা’ আদায় করতে বদরুল আলম ফুল নয়, হাতে তুলে নিয়েছে চাপাতি! ভণ্ডামি, কপটতা, নির্মমতা আর নৃশংসতার কী চরম প্রদর্শনী! ভালোবাসা তো দূরে থাক, ন্যূনতম সহানুভূতিও তাই জোটেনি ‘বদ’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়ে যাওয়া বদরুলের কপালে। জুটেছে ধিক্কার, জুটেছে ঘৃণা।

আর ইমরান কবির! গত সোমবার বিকেলের আগেও কেউ চিনত না তাকে; জানত না কেউ। অখ্যাত সেই ইমরান কবির এখন মানুষের মুখে মুখে, পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্থান করে নিয়েছেন গণমানুষের হৃদয়ে।

খাদিজার জন্য অসীম ভালোবাসা দেখিয়ে, মানবতার আরেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইমরান কবির। ‘বদ’ বদরুলের চাপাতির নির্মম আঘাতে যখন খাদিজা নিথর হয়ে পড়ে আছেন এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে, যখন ভয়-আতঙ্ক-শঙ্কায় অন্য কেউ বাড়াচ্ছিল না সাহায্যের হাত, ঠিক তখন দুরন্ত সাহসের প্রতীক হয়ে এগিয়ে গেলেন ইমরান। অজানা, অচেনা খাদিজাকে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে। খাদিজার শরীরে দিলেন নিজের রক্ত; এনে দিলেন ওষুধ।

খাদিজা তাই বেঁচে আছেন এখনো। ইমরান যদি মানবতার জন্য হাত না বাড়াতেন, যদি আরো কিছু সময় রক্তাক্ত, নিথর খাদিজা পড়ে থাকতেন ধুলোমাটিতে, তবে কি এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে পারতেন? কী জানি! অনিশ্চিত উত্তরের সন্ধান না হয় বাদই দিলাম।

কিন্তু ইমরান কবিরের সাহসিকতা, অপরিচিত একজনকে কোলে তুলে নেওয়া, হাসপাতালে ছুটে যাওয়া, রক্ত দেওয়া, ওষুধ কিনে দেওয়া- কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? খাদিজার জন্য ইমরানের যে ভালোবাসা, তা তো কোনোভাবেই ব্র্যাকেটবন্দি করা যাবে না! এ ভালোবাসা শাশ্বত, হৃদয়ের গভীর কুঠুরি থেকে উৎসারিত; এ ভালোবাসা মানবতার জন্য, মনুষত্ববোধের চরম পরাকাষ্ঠার প্রদর্শন।

খাদিজা হাসপাতালের বেডে লড়ে যাচ্ছেন। আছেন সংকটাপন্ন মুহূর্তে কী ভাবছেন ইমরান কবির? খাদিজার এই সংকট কতটা দাগ কাটছে তার মনে?

শোনা যাক ইমরান কবিরের মুখ থেকেই, ‘খাদিজা আপু হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন, এই চিন্তা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সর্বক্ষণ মনমরা হয়ে আছি। তার পরিবার কীভাবে এটা সহ্য করছে, ভাবতে পারছি না।’

খাদিজার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে যাচ্ছেন ইমরান, ‘খাদিজা আপু সুস্থ হয়ে ওঠলে তার পরিবারের সদস্যরা যতটা খুশি হবেন, আমি তারচেয়ে কম খুশি হব না। তার সুস্থতার জন্যই দেশের সব মানুষের মতো আমিও প্রার্থনা করছি।’

মানবিকতার অনন্য প্রতীক হয়ে ওঠা ইমরান কবির নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন খাদিজার। আর চাইছেন, পাষণ্ড বর্বর বদরুল আলমের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি।

ইমরান কবিরের ভাষায়, ‘বদরুলের শাস্তি চায় না, এমন কোনো মানুষ নেই। আমি চাই, তাকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে এমন নিকৃষ্ট অপরাধ আর কেউ না করে।’

লেখক : সাংবাদিক ও রম্য লেখক।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?