শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ঘুরে দাঁড়াতে লড়ছেন রানা প্লাজার জখম শ্রমিকরা

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড় হযরতপুর গ্রামের মেঘলা বেগম স্বামী আব্দুল বাতেনসহ কাজ করতেন রানা প্লাজার পোশাক কারখানায়। ভবন ধসে স্বামী আব্দুল বাতেন প্রাণ হারান। মেঘলা হয়ে যান গুরুতর জখম।

সারা শরীরে জখমের অসংখ্য দাগ আর যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন মেঘলা বেগম। ক্ষতিপূরণের যে কয়টি টাকা পেয়েছিলেন, তা চিকিৎসায় ব্যয় ও আড়াই বিঘা আবাদী জমি বন্দক নিয়েছিলেন। গত বছর একটি এনজিও এক মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ, ২৫ হাজার টাকা ও একটি সেলাই মেশিন দিয়েছে। বন্দকি জমির ফসল এবং বাড়িতে বসে সেলাই করে যে আয় হয়, তা দিয়ে চলছে তার ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম।

মেঘলা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, সেলাই মেশিন দিয়ে তার মাসে আয় হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। সারা শরীরে এখনো ব্যথা। তাই বেশি কাজ করতে পারেন না। বেশি কাজ করতে পারলে বেশি আয় হতো।

মেঘলা বেগমের চাচাত বোন মালেক মিয়ার কন্যা মারুফা জানান, সাভারের রানা প্লাজা ধসে তিনিও গুরুতর জখম হন। এখন জীবন জীবিকার টানে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন।

রানা প্লাজা ধসে পঙ্গু হয়ে যাওয়া মরিয়ম বেগম জানালেন, তার এই জীবন আর ভালো লাগে না। চলতে পারেন না। বসতে পারেন না। নিজে হাতে খেতেও পারেন না।

সাভারের ভবন ধসে আহত হয়েছিলেন মিঠাপুকুরের আব্দুল লতিফ। ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। তা চিকিৎসাতেই শেষ হয়ে গেছে। তারপরেও জীবন সংগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ছোট খাট কাজের মাধ্যমে। এদের মতো আহত অনেকেই সেই দিনের দুর্ঘটনার ধকল সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

নিহত দুলালী বেগমের বাবা মতিয়ার জানান, প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সহযোগিতা পেয়েছিলেন। এখন কেউ তাদের পরিবারের খোঁজ নেয় না। প্রায় একই কথা বললেন, নিহত আরজিনা বেগমের বাবা সোহরাব হোসেন।

পেটের তাগিদে রাজধানীতে গিয়ে রানা প্লাজা ধসে জখম শ্রমিকরা এবং নিহতদের পরিবারগুলো দুই বেলা দুই মুঠো ভাতের জন্য লড়ছেন। চার বছর আগে এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধসে সেখানে পোশাক কারখানায় কর্মরত রংপুরের অর্ধশতাধিক শ্রমিক প্রাণ হারান।

এদের মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মতিয়ারের স্ত্রী কন্যা দুলালী বেগম, বাদশা মিয়ার কন্যা লাইজু ওরফে রাবেয়া, সোহরাব হোসেনের কন্যা আরজিনা বেগম, আবুল কাশেমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম, হামিদা বেগম, সুজন মিয়ার ছেলে বুলু মিয়া, মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে নেওয়াজ শরিফ, নেহজুল ইসলামের স্ত্রী শ্যামলী বেগম, আনছার আলীর ছেলে মোরশেদুল ইসলাম, ইউসুফ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, সবুজ মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার, জাহেদুলের স্ত্রী মোহছিনা বেগম, শওকত আলীর কন্যা লিপি খাতুন, আয়নাল হকের স্ত্রী গোলাপী বেগমসহ অনেকে সেই দিন প্রাণ হারান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন সাড়ে ১১টায় 

থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীরবিস্তারিত পড়ুন

গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

দেশের দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে , দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন

  • হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন পাপ্পা গাজী
  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের
  • উত্তরায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি উদ্ধার
  • এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের পথে 
  • প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন 
  • কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
  • ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনসহ সকল তেলের মূল্যবৃদ্ধি
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত