বান্দরবানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শতাধিক, ২ শিশুর মৃত্যু
বান্দরবানের থানছি উপজেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও সোমবার শিশু-কিশোর, বয়স্কসহ আরও শতাধিক ব্যক্তি ম্যালেরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো চিকিৎসক না থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জেলার থানচি উপজেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার রেমাক্রী এবং ছোটমদক পাহাড়ি গ্রামে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো রেমাক্রী ইউনিয়নের গ্রুপিং পাড়ায় মপুশে মারমা (৭) এবং ছোটমদক পাড়ায় অংথুই মারমা (৬)।
থানচি উপজেলার রেমাক্রী, তিন্দু ইউনিয়ন ও থানচি সদরের অংহ্লা খুমি পাড়া, মালিরাম পাড়া, পেনেদং পাড়া, গ্রুপিং পাড়া, অংসু খুমি পাড়া, রেমাক্রী বাজার পাড়া, তিন্দু বাজারপাড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে ব্যাপকভাবে ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শিশু-কিশোর, বয়স্ক আরও শতাধিক লোকজন ম্যালেরিয়া এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে জেলা সদরেও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত রবিবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত দুই শিশু তাহমিনা আক্তার (৯) এবং ছোট ভাই সায়েম হোসেন (৬) দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে সদর হাসপাতালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত আরও ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাহ্লাচিং মারমা বলেন, থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো চিকিৎসক নেই। বৃষ্টিতে রেমাক্রী, তীন্দু ইউনিয়নের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ম্যালেরিয়া এবং নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ব্যাপকভাবে। গত রবিবার রেমাক্রী ইউনিয়নে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ২ শিশু মারা গেছে। দূর দূরান্ত থেকে বৃষ্টির মধ্যে আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও চিকিৎসা পাচ্ছে না। কোনো ডাক্তার নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) প্রবীরচন্দ্র বণিক জানান, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৫ জন বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত দুই শিশুকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছিল। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. উদয়শংকর চাকমা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় এ সময়ে ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একজন শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ম্যালেরিয়ায় আর দুই শিশু মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ট্রাক খাদে, ৬ নিহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী একটি ট্রাক খাদে অন্তত ছয়জনবিস্তারিত পড়ুন
স্কুল পড়ুয়া শ্যালিকার সাথে দুলাভাইয়ের অবৈধ সম্পর্কের বলি হলো অসহায় বড় বোন !
ছোট বোনের সাথে স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের বলি বড় বোন !বিস্তারিত পড়ুন
বান্দরবানে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে শিশুসহ নিহত ৬
বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে শিশুসহ ছয়জনবিস্তারিত পড়ুন