শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! স্বামী, সন্তানের লাশ নিয়ে সীমান্তে অপেক্ষায় বাংলাদেশি আসমা

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন গাজীপুরের আসমা বেগম ও রফিক মন্ডল। চিকিৎসাকালিন হঠাৎ মারা যান ছেলে আসাদ মন্ডল (১৫)। এরপর কফিন বন্দী ছেলের লাশ দেশে ফেরত নিতে গিয়ে স্বামীকেও হারালেন আসমা বেগম।

জানা যায়, আসমা বেগমের বাড়ি ঢাকার গাজীপুরের হাতিমার গোবিন্দ বাড়ি গ্রামে। ছেলের লাশ নিয়ে সোমবার দুপুরের দিকে ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন মা আসমা এবং বাবা রফিক মন্ডল। সেখানে দুপুরেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন রফিক। এরপর স্থানীয় বনগা মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলে আসাদের মন্ডলের চিকিৎসা করাতে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান রফিক ও আসমা দম্পতি। কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসাও শুরু হয় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসাদের। কিন্তু দীর্ঘ ছয়দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর রবিবার রাত ৮ টার দিকে মারা যান আসাদ। এরপর আসাদের লাশ বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সোমবার সকালের দিকে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছান রফিক ও আসমা।

কিন্তু আসাদের লাশ দেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা থাকায় বেলা গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। এরইমধ্যে পাশের একটি শুলভ শৌচালয়ে (টয়লেটে) যান রফিক মন্ডল। কিন্তু সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন রফিক। সঙ্গে সঙ্গেই শুলভ শৌচালয়ের কর্মী রামেশ্বর রায় তাকে স্থানীয় বনগাঁ মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা দেয় চিকিৎসকরা। এরপর খবর দেওয়া হয় স্বামীর পথ চেয়ে বসে থাকা স্ত্রী আসমাকেও। তিনিও দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে স্বামীকে আর জীবন্ত দেখতে পাননি আসমা। একদিকে ছেলের লাশ, অন্যদিকে হঠাৎ করেই স্বামীর মৃত্যু। মাথায় তখন আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয় আসমার। দিশেহারা আসমা বার বার বুক চাপড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ ঘটনা দেখে সান্তনা দিয়ে গিয়েও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে।

শৌচালয়ের কর্মী রামেশ্বর জানান ‘ওই ব্যক্তি শৌচালয়ে যেতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর আমি দৌড়ে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই সে মারা যায়’।

আসমা জানান ‘ছেলে অন্তপ্রাণ ছিল রফিকের। ছেলের শোকেই আমার স্বামী চলে গেল’।

এ ব্যাপারে বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে আজ রাতের মধ্যে ওর পোস্ট মর্টেমের কাজ শেষ করা যায়। একইসঙ্গে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাগজপত্র সংগ্রহ করে আগামীকালই যাতে তারা দেশে ফিরতে পারে। ’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু

লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৩টি বগি উদ্ধারবিস্তারিত পড়ুন

ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ভোটার উপস্থিতিবিস্তারিত পড়ুন

পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অণুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নাগরিকবিস্তারিত পড়ুন

  • মোহাম্মদপুরে ৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার
  • বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
  • সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু  
  • সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা
  • ভয়ংকর অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে: ডিবি প্রধান
  • দেশের দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
  • হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন পাপ্পা গাজী
  • উত্তরায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি উদ্ধার