বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ভারতীয় টিভি চ্যানেল সমাজের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর!

বর্তমানে বাংলাদেশে চালু আছে প্রায় ৪০টিরও বেশি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। প্রতিটি চ্যানেল খবর ছাড়াও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে দর্শকদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন অনুষ্ঠানেই ফেরান যাচ্ছেনা দর্শকদের। সবাই ভারতীয় চ্যানেলগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতীয় টিভি চ্যানেলের কারণে দেশী টিভি চ্যানেল অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে। সমাজ ব্যাবস্থাকে ধংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে ঘরে ঘরে নারীরা যেন মাদকের মতো আসক্ত হয়ে পড়েছেন ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি। এর কু-প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সমাজ সভ্যতার ওপর।

বাংলাদেশের দর্শকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেন, দেশের দর্শকদের ফেরাতে প্রথমে ভারতীয় চ্যানেলের আগ্রাশন বন্ধ করতে হবে, এরপর দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে, ভাল মানের অনুষ্ঠান হলে দর্শক সহজে ফিরে আসবে। একই সাথে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে টিভি মালিকদের সচেতন থকতে হবে, অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের করণে দর্শক বিরক্ত হয়।

দীপ্ত টিভির চিফ অপারেটিং অফিসার কাজী উরফি আহমেদ বলেন, ‘দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে প্রথমে জরিপ চালাতে হবে তারপর অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে। আমরা দেশের বিভিন্ন শ্রেণির দর্শকদের নিয়ে জরিপ চালিয়েছি, এটা সবার করা উচিত। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে দর্শকরা আসলে কি চায়? আর জরিপ শেষে দর্শকদের চাহিদা মাথায় রেখেই নতুন কিছু আয়োজন করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব অভিনয়শিল্পী রয়েছে, নিজস্ব পরিচালক টিম, রাইটার প্যানেল আছে। নিজেরা নাটক ও অনুষ্ঠানের জন্য সেট তৈরি করেছি। এখানে মাসে ২৬দিনই শুটিং হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কলকাতার জনপ্রিয় নাটক ও অনুষ্ঠানগুলোর চাইতেও মানসম্পন্ন কিছু করতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইক্লোজি বিভাগ প্রভাষক তামিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ভারতীয় চ্যানেলের আগ্রাশনের কারণে দেশের সমাজ ব্যবস্থার উপর বিশাল প্রভাব পড়ছে। ভারতীয় টিভি সিরিয়ালগুলোর মূল বিষয়বস্তু হল পারিবারিক ও সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিযোগিতা, প্রতিহিংসা এবং ঝগড়া। এটাকে কেন্দ্র করে গোটা সিরিয়ালজুড়েই থাকে কূটবুদ্ধির চর্চা। প্রতিহিংসা রূপ নেয় একে অপরকে ধ্বংস বা হত্যা অথবা হত্যা ষড়যন্ত্রের পর্যায়ে।

তিনি বলেন, গৃহবধূ, নারী এবং কিশোরীরা এই ঝগড়া-ঝাটি দেখতে বেশ পছন্দ করে। এটা তাদের মনের মধ্যে দাগ কাটে, নিজেদের প্রবৃত্তিটাও আস্তে আস্তে সেভাবেই বিকশিত হয়। পরিণত বয়সীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আসে এই সিরিয়াল দেখে। তাদের ভিতরের স্বভাবটাও আস্তে আস্তে ঝগড়াটে স্বভাবে রূপ নেয়। এটা যখন বাস্তবে রূপ লাভ করে তখন পরিবারগুলোতেও দেখা দেয় প্রতিহিংসা, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও ঝগড়াটে পরিস্থিতি।

এ সাইক্লোজিস্ট বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হলে সাধারণ দর্শকদের ভারতীয় টিভি সিরিয়াল থেকে ফিরিয়ে দেশীয় সাংস্কৃতি চর্চার দিকে আনতে হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো অবাধে সম্প্রচার চালালেও বাংলাদেশি কোন চ্যানেল ভারতে সম্পচারের জন্য অনুমতি পায় না। বিভিন্ন মহল থেকে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবি করা হলেও এখন পর্যচন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেইনি সরকার।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন সাড়ে ১১টায় 

থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীরবিস্তারিত পড়ুন

গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

দেশের দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে , দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন

  • হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন পাপ্পা গাজী
  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের
  • উত্তরায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি উদ্ধার
  • এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের পথে 
  • প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন 
  • কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
  • ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনসহ সকল তেলের মূল্যবৃদ্ধি
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত