বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

যত দোষ ছাত্রলীগের, যত খাটুনি ছাত্রলীগের

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবসময় তটস্থ থাকেন, কথাটা চিরন্তর সত্য (লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ জন বাদে)। এর কারণ এই যে সরকাবি দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ বা সহযোগী অঙ্গসংঠন কিংবা কোন মন্ত্রী, এমপি অথবা জেলা/মহানগর/উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি/সম্পাদক এর ব্যক্তিগত বা দলীয় কর্মসূচির সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ করতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতকর্মীদের কাছে দারস্থ হতে হয়।

আর বিরোধী দলে থাকলে ত কোন কথাই নেই। সরকারি দলের হাতে নিয়মিত তিনবেলা ভাত খাওয়ার মত মার খাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এর হাত থেকে বাঁচার জন্য তটস্থ উপর থাকতে হয়।

‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করতে কোন টাকা লাগে না..আমরাও ছাত্রলীগ করেছি একসময়’..এই কথাটা ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য একটা গালি হয়ে গেছে।

ব্যক্তিবিশেষ কয়েকজন বাদে যারা একসময় ছাত্রলীগ করেছে প্রায় সবাই ভুলে গেছে ছাত্রলীগ করার বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো। গুটিকয়েক সাবেক বড় ভাই ছাড়া কেউ ছাত্রলীগের খোঁজখবর রাখে না। আজ যখন একজন ছাত্রলীগ নেতার কাছে তার কোন কর্মী বা ছোটভাই এসে বলে… ‘ভাই বাড়ি যাব, ভাই আজ আমার জন্মদিন, ভাই আজ আমার পরীক্ষার ফরমফিলাপ করতে হবে, ভাই আজ বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাব, ভাই সামনে কিন্তু ঈদ কিংবা পূজো, ভাই আমি অসুস্থ…..ইত্যাদি ইত্যাদি এই কথাগুলোর উত্তর ছাত্রনেতারা কিন্তু মুখে দিতে পারে না দিতে হয় নোটে।

আর যখন না দিতে পারে তখন কষ্টের তীব্রতা বেড়ে রূপ নেয় অনাস্থায়, তখনই সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কথায় আছে ‘মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজে না’..গুনীজনরা তো এমনি এমনি বলে যাননি ।আজকে কোন মন্ত্রণালয়ে বা কোন অফিসে ছাত্রলীগ কোন কাজ পায় না, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও চাকরি পায় না..এটাই চরম বাস্তবতা।

ছাত্রলীগ যুগ যুগ ধরে দেশ ও আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্নে আলোকবর্তিকা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ আজ ছাত্রলীগ তার অতীত ঐতিহ্য হারিয়েছে এটা এখন সকলের বুলি হয়ে গেছে। কথা কিছুটা হলেও সত্য। তবে এর পিছনে যে কারণগুলো রয়েছে তার জন্য দায়ী কে? ছাত্রলীগের কোনো স্বাধীনতা নেই, কোন কমিটি করতে গেলে ওমুক নেতা ওমুক এমপি-মন্ত্রী এদের পছন্দসই হতেই হবে। সংগঠন চালানোর জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট কখনই ঠিকমত পাওয়া যায় না। জোড়াতালি দিয়ে লজিস্টিক সাপোর্ট তৈরি হয় সংগঠন। কি আর করা যতটুকু গুড় দেওয়া হয় ততটুকুই মিষ্টি পাওয়া যায়। বেশি আশা করাটা বোকামি নয় কি?

ছাত্রলীগ ভাল করলে সকলেরই সহোদর ভাই হয় আর একটু খারাপ হলেই তখন হয় চক্ষুশুল। এটাই ছাত্রলীগের আসল জ্বালা। সামনে আসছে ‘ঈদ’, আওয়ামী লীগ এর অনেক এমপি-মন্ত্রী কিংবা বড় বড় নেতারা ছাত্রলীগের গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলেন প্রায় সময়।

লেখক: সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?