শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

স্বপ্নপুরী যাবার পথে ট্রেনের ভেতরে যেভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মিজু আহমেদ

না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা মিজু আহমেদ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

শক্তিশালী খল অভিনেতা মিজু আহমেদের প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং একমাত্র ছোট সন্তান হারসাতকে নিয়েই ছিল তার সুখি পরিবার। অবসরে ক্রিকেট খেলা দেখতে পছন্দ করতেন তিনি। নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এই অভিনেতা। সারাক্ষন সবাইকে হাঁসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন মিজু আহমেদ ।

মিজু আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গন সহ প্রায় সবখানেই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া । ফেসবুকের দেয়াল জুড়ে তারকাসহ হাজারো ভক্তের শোকের স্ট্যাটাস আর স্মৃতিচারন ।

মিজু আহমেদ একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউড পাড়ায় পরিচিত। মূলত, আহমেদ তার খলনায়ক চরিত্রের সুবাদে বাংলা চলচ্চিত্রে সুপরিচিত।

জানা গেছে, ট্রেনেই মিজু আহমেদ হার্ট অ্যাটাক হয় তার। এসময় ট্রেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পালস পরীক্ষা করে তার হার্টবিট পাননি।

আজ ট্রেন যোগে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনের নিকট ট্রেনেই হৃদযোগে আক্রান্ত হন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিচালক শাহীন ও অভিনেতা অমিত হাসান।

অমিত হাসান বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হন মিজু আহমেদ। ট্রেন তেজগাঁও স্টেশন যাওয়ার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাঁকে বিমানবন্দর স্টেশনে নামানোর পর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

অমিত হাসান বলেন, আমরা বিমানবন্দর থানায় কথা বলেছি। সেখান থেকে আমাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আমি আর ওমর সানি ভাই গাড়িতে যাচ্ছি।

অভিনেতা মিশা সওদাগরের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমিও শুনেছি মিজু ভাই আর নেই। আমি কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাচ্ছি।’ স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং ছেলে হারশাতকে নিয়ে ছিল তার পরিবার।

একনজরে মিজু আহমেদ
মিজু আহমেদের জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায়।তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সাথে অন্তর্ভূক্ত হন। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে থেকে তিনি বিএসসি বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।

১৯৭৮ সালে কৃষ্ণা ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান মিজু আহমেদ। এ পর্যন্ত ৮০০ এর অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে তৃষ্ণা, চাকর, ত্যাগ, বশিরা, হাঙর নদী গ্রেনেড, কুলি, লাঠি, কষ্ট, ইতিহাস ও ক্রাইম রোড। তৃষ্ণা ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

মিজু আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ হল মালিক ও প্রদর্শন সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে অনেক আগেই দাম্পত্যবিস্তারিত পড়ুন

বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি

ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিতবিস্তারিত পড়ুন

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে কয়েকজন চলচ্চিত্র শিল্পী। সেখানকারবিস্তারিত পড়ুন

  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমাহিত হবেন সাদি মহম্মদ
  • কে কোন ক্যাটাগরিতে জিতলেন অস্কার?
  • রাজকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য পরীমনির
  • মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৪ জিতলেন ক্রিস্টিনা পিসকোভা
  • আর অভিনয় করতে পারবেন না সামান্থা!
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?