‘গোরস্থান থেকে সংগ্রহ করা মাথার খুলি, হাড় দিয়ে হতো কঙ্কালের ব্যবসা’
বাংলাদেশে রাজধানীর কাফরুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ ৪০টির মতো মানুষের মাথার খুলি এবং শরীরের বিভিন্ন হাড়গোড় উদ্ধার করার পর পুলিশ বলছে, রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করার পর এসব হাড়গোড় বিক্রি করা হতো।
পুলিশ সন্দেহ করছে ঢাকার আশেপাশে বিভিন্ন গোরস্থান থেকে এসব খুলি ও হাড়গোড় সংগ্রহ করা হয়েছে।
মিরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন যে, মাথার খুলি ও হাড়গুলো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বলে তারা ধারণা করছেন।
এই ঘটনায় কামরুজ্জামান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তি নিজেকে একটি মেডিকেল কলেজের সিনিয়র স্টুডেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূলত ব্যবসার জন্য এই কঙ্কালের সংগ্রহ গড়ে তোলা হয়েছে।
অবৈধভাবে সংগ্রহ বা তৈরি করা এসব কঙ্কাল বিশ থেকে পয়ত্রিশ হাজার পর্যন্ত মূল্যে বিক্রি করা হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাছে অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যেই এই কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে যে কিছু কঙ্কাল কিনতো পুরনো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে । আর সেগুলো নতুন শিক্ষার্থীদের কাছে সে বিক্রি করতো। এছাড়াও ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে হাড়গোড়গুলো জোগাড়ের কাজ করেতো আটক কামরুজ্জামান।”-বলছিলেন মিরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শরিফুর রহমান।
বিভিন্ন জায়গা থেকে হাড় সংগ্রহ করে একটা কঙ্কাল তৈরি করতো বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ মিরপুরের ওই বাড়িটিতে সেসব সরঞ্জামও পেয়েছে।
পুলিশ সন্দেহ করছে মাথার খুলিসহ, মানুষের শরীরের এসব হাড় সংগ্রহের একটি চক্র তৈরি হয়েছে এবং এই চক্রে গোরস্থানের লোকজনও জড়িত আছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুর রহমান।
– বিবিসি বাংলা
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের পথে
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ২৩বিস্তারিত পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন কর্মকর্তাবিস্তারিত পড়ুন
পালিয়ে আসা ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে ফেরত পাঠালো বিজিবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারদলীয় বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘাতবিস্তারিত পড়ুন