শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সবাই আমরা শুধু নিজের সুবিধার কথাই ভাবছি

বিজয়ের মানে একেক জনের কাছে একেক রকম। কেউ সেটাকে পোশাকে প্রকাশ করেন আবার কেউ প্রকাশ করেন কাজে। সাপ্তাহিকের নির্বাহী সম্পাদক শুভ কিবরিয়া সেই বিষয়টি সামনে এনে ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছেন।

সেখানে তিনি লিখেছেন, মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত অফিসে গেলাম। নিয়ত করেছিলাম যতই ঘুরতে হোক না কেন এই কাজের জন্য কোনো টাকা -পয়সা ওখানে দেব না। এটা বিনে পয়সার সার্ভিস। প্রথম দিন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো। প্রথম যে রুমে গিয়ে ফর্ম পুরণ করলাম, ভদ্রলোক বিরস মুখের মানুষ। আমাকে আর কি করতে হবে জানতে চাইলে জিজ্ঞেস করলেন তাড়াতাড়ি নিতে চাইলে …টাকা লাগবে। আমার পরিচয় দিয়ে বললাম টাকা তো দেয়া সম্ভব না। তাছাড়া আমার আর্জেন্ট চাহিদাও নেই। ভদ্রলোক দ্রুত অন্য রুম দেখিয়ে সেখানে যেতে বললেন। অন্য রুমে যেয়ে দেখি এই কাজের জন্য আসা অন্য মানুষেরা টাকা পয়সা দিয়েই দ্রুত এটা নিতে চাইছেন। বছরের শেষ সময়। স্কুলের ভর্তির সময় আসন্ন। এ কারণেও অন্যদের চাহিদা দ্রুত এটা পাওয়া। এই রুমে আছে বেশ কটি কম্পিউটার, বসেন দু তিনজন। হঠাৎ এদের একজনের চোখ পড়লো আমার ওপর। ভাই কি সার্ভিস দিতে পারি? আমাকে নতুন খরিদ্দার ঠাওরেছে। তড়িঘড়ি করে নিজের পরিচয় দিয়ে বললাম পয়সা ছাড়া আমার কাজটা করতে হবে। দ্রুত অন্যরুমে এক আপার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।

আপার রুমে ঢুকেই নিজের পরিচয় দিলাম। আপা নিজেকে কিছুক্ষণ ব্যস্ত রেখে এরপর আমার ফর্মটি নিলেন। চেক করলেন। ১৫ দিন পরের একটা তারিখ দিলেন। বললাম পরিচয় দেবার এটা কি পানিশমেন্ট? আপা রাগেন না, হেসে বললেন যেদিন দরকার হবে তার আগের দিন কাউকে পাঠিয়ে দিয়েন। চলে এলাম। পনের দিন পরে গেলে আপা অনেক কাগজ খুঁজে জানালেন আপনারটা হয়নি। সার্ভার নষ্ট। দুদিন পরের তারিখ দিলেন।

এই অফিসের বড় কর্তা জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার। সরকারের একজন উপসচিব। আমাদের সিভিল বুরোক্রেসির যে চৌকস, স্মার্ট, মেধাবী, জনসেবা দিতে উম্মুখ একটা তরুণ-প্রবীণ দল আছে ইনি সেই ঘরানার নন। নিস্পৃহ, নিরাসক্ত, বিরক্ত ঘরানার আমলা। আগের স্টেশনে কি করেছেন সেই গৌরবের গল্প শোনালেন। মানুষ সচেতন না সেই অভিযোগ করলেন। আমি জানালাম জন্ম নিবন্ধনে কোনো সিস্টেম না থাকায় এখানে দুর্নীতি হচ্ছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কোনো সিস্টেম করা যায় কি না? তিনি তাতে গা করলেন না। বরং আমার কাজটা যাতে দ্রুত হয় সেই চেষ্টার ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেন। আমি তাতে সায় না দিয়ে চলে এলাম। নির্দিষ্ট তারিখের ৫ দিন পরে যেয়ে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেলাম, যেখানে আমার নামের বানান ভুল।

সবশেষে শুভ কিবরিয়া লিখেছেন, এই রকম অভিজ্ঞতা সবখানেই দেখছি। যে যেখানে আছে সবাই আমরা শুধু নিজের সুবিধার কথাই ভাবছি। যিনি পথচারি, যিনি গাড়ী চালাচ্ছেন, যিনি মটর সাইকেলে চলছেন , যিনি ধূমপায়ি, যিনি ট্রেনে চলছেন, যিনি অফিসে বসেছেন- এইভাবে যে যেখানে আছি আমরা সবাই সমষ্টির কথা অবজ্ঞা করে অন্যের অসুবিধা হলেও শুধু নিজের সুখটার কথাই ভাবছি।

অথচ ১৯৭১ সালে মানুষ উল্টোটা ভেবেছিল। ব্যাক্তির সুখ তুচ্ছ করে সমষ্টির কল্যাণ চেয়েছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ।

১৬ ডিসেম্বরের প্রাক্কালে বসে তাই ভাবছি যে যে জায়গায় বসে আছি, সেখান থেকেই নিজের কাজটা যদি ঠিকমতো করতে পারি , অন্যের কষ্টের কারণ না হয়েও যদি নিজের আনন্দটা পেতে পারি তার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখানোর উপায় এর চেয়ে আর উত্তম কি হতে পারে।

bijoy-dibos-2

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?